· দেশের উপকূলসহ সকল নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার কাজে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার অবৈধ/ধ্বংসাত্মক মাছ ধরার সরঞ্জাম ব্যবহৃত হচ্ছে। অবৈধ মাছ ধরার সরঞ্জামের মধ্যে কারেন্ট জাল ও বেহুন্দি জাল হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক। এছাড়াও আরও ব্যবহৃত হচ্ছে মশারী জাল, চরঘড়া জাল, চটজাল, টানা জাল, টং জাল ইত্যাদি। এই সকল জালের ব্যবহার আইনকরে বন্ধ করা হলেও গোপনে রাতের আধারে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে জাটকাসহ অন্যান্য ছোট মাছ যেমন নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে তেমনি জাটকা, পাঙ্গাস, আইড়ের মতো মূল্যবান প্রজাতির মাছের নার্সারি ও প্রজননক্ষেত্রও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই সকল ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে প্রকল্পে বিকল্প কর্মসংস্থান সহায়তা প্রদানের সংস্থান রাখা হয়েছে।
· অবৈধ/ধ্বংসাত্মক জাল বা ট্রাপ ব্যবহারকারী জেলেদের নিরুৎসাহী করার জন্য অবৈধ জাল ধ্বংস করে বৈধ জাল বিতরণ করে দরিদ্র জেলেদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
· প্রকল্পের আওতায় অবৈধ জাল বা ফিক্সড গিয়ার ধ্বংস করে বৈধ জাল বিতরণ কার্যক্রমটি ০৭ (সাত) টি জেলা যথা বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং নোয়াখালী জেলায় পাইলট আকারে মোট ১০,০০০ (দশ হাজার) টি জেলে পরিবারকে বৈধ জাল প্রদান করা হবে।
3.৩.১ বৈধ জাল বিতরণে সুফলভোগী নির্বাচনের মানদন্ড
· মৎস্য অধিদপ্তরের জেলে কার্ডধারী (FID)/নিবন্ধিত প্রকৃত জেলে হতে হবে;
· হতদরিদ্র জেলে তবে ভূমিহীন বা নদী ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে অগ্রাধিকার প্রাপ্য হবেন;
· ১৮-৫৫ বছর বয়স হতে হবে;
· ০১ (এক) টি পরিবার একটি জাল পাবে এবং পরিবারে নন্যূতম ০৩ (তিন) জন সদস্য থাকতে হবে;
· যে সকল জেলের নিজস্ব নৌকা আছে কিন্তু জাল নেই এমন জেলে অগ্রাধিকার পাবেন;
· সারাবছর প্রধানতঃ ইলিশ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে এমন জেলে;
· নৌকার আকার অনুযায়ী চাহিদা ভিত্তিক ও প্রয়োজনীয়তার নিরীখে ০২ (দুই) থেকে সর্বোচ্চ ০৩ (তিন) টি জেলে পরিবারকে গ্রুপ ভিত্তিতে জাল প্রদান করা যাবে।